অবশেষে অবসান হলো জামাই-শ্বশুরের গরু-মহিষ দ্বন্দ্ব। ১৭টি মহিষের মধ্যে জামাই পেয়েছে ৯টি, শ্বশুরের ভাগে পড়েছে ৮টি। এতে জামাই মনোক্ষুণ্ন হলেও খুশি শ্বশুর। উচ্চ আদালত বলেছেন, ভবিষ্যতে যেনো এ নিয়ে আর কোনো বিরোধ না হয়।
সৌদি আরব যাওয়ার আগে শ্বশুর নূর মোহাম্মদকে ৮ মহিষ ও ৫টি গরু পালতে দিয়ে যান জামাই আব্দুল ওয়াদুদ। ৮টি মহিষ বেড়ে দাঁড়ায় ২০টিতে আর গরু ২টি বেড়ে হয় ৭টি। ১০ বছর পর দেশে ফিরে সবকটি গরু-মহিষের মালিকানা দাবি করেন জামাই। দিতে অস্বিকৃতি জানান শ্বশুর। এ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। উপক্রম হয় সংসার ভাঙার।
বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। সিদ্ধান্ত পক্ষে যায় জামাইয়ের। নাছোড়বান্দা শ্বশুর মামলা করেন উচ্চ আদালতে।
জামাই-শ্বশুরের এমন অদ্ভূত বিরোধ মীমাংসার দায়িত্ব পড়ে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের ওপর। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে বণ্টন করা হয় মহিষগুলো। ১৭টি মহিষের মধ্যে ৯টি পান জামাই, শ্বশুরের ভাগে পড়ে ৮টি। উচ্চ আদালতও একমত হন এই সিদ্ধান্তে।
জামাই পক্ষের আইনজীবী আকতার রসুল মুরাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘উভয়পক্ষকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে বসা হয়। সাড়ে ৩ ঘণ্টার আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, জামাই ৯টি মহিষ পাবেন এবং শ্বশুর পাবেন ৮টি। এ বিষয়ে লিখিত আকারে স্বাক্ষর হয়। সেটা কোর্টে উপস্থাপন করলে কোর্ট আমলে নিয়ে রামগতির ওসিকে নির্দেশ দেবেন, গরু-মহিষ যেন বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া পরবর্তীকালে যেন তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে এ নিয়ে কোনো বিরোধ না হয়।’
আদালতের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও দূরত্ব কমেনি জামাই-শ্বশুরের।
শ্বশুর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘যেটা মেনে স্বাক্ষর করেছি, সেটা তো মানতে হবেই।’
জামাই আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, থানায় এবং চেয়ারম্যান মিলে মহিষগুলো ভাগ করে দেবে।’
জামাই-শ্বশুর দুজনের বাড়িই লক্ষ্মীপুর। বতর্মানে মহিষগুলো জেলার রামগতি থানার জিম্মায় আছে বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত